শূন্য পদে সেবার ঘাটতি: কেন্দুয়ায় অফিস সহকারীর মাধ্যমে গাভীগরুর কৃত্রিম প্রজনন সেবা

নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে জনবল সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। কৃত্রিম প্রজনন কর্মকর্তার পদ শূন্য থাকায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে অফিস সহকারী কামরুল ইসলামকে দিয়ে বকনা ও গাভী গরুর কৃত্রিম প্রজনন (সিমেন প্রয়োগ) সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের মোট ১১টি পদের মধ্যে বর্তমানে ৬টি গুরুত্বপূর্ণ পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে কৃত্রিম প্রজনন কর্মকর্তার পদটি অন্যতম হলেও দীর্ঘ সময়েও তা পূরণের কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
কেন্দুয়া একটি কৃষি ও গবাদিপশু নির্ভর এলাকা। প্রতিটি বাড়িতে রয়েছে গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি। গড়ে উঠেছে ছোট-বড় অসংখ্য গবাদিপশু ও ব্রয়লার খামার। প্রতিদিন গড়ে ২৫-৩৫টি গাভী প্রজনন সেবা নিতে আসে কেন্দুয়া ভেটেরিনারি হাসপাতালে। কিন্তু প্রজনন কর্মকর্তা না থাকায় অফিস সহকারী দিয়ে সেবা চালাতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।
এতে করে কৃষকদের অভিযোগ, অদক্ষ ব্যক্তির মাধ্যমে সেবা প্রদান করায় অনেক গাভী একাধিকবার সিমেন প্রয়োগের পরও গর্ভধারণ করছে না। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন খামারিরা। এছাড়া উপজেলার হাজার হাজার গবাদিপশু নানা রোগে আক্রান্ত হলেও পাচ্ছেন না সঠিক চিকিৎসা। ফলে হাতুরে ডাক্তারদের ওপরই নির্ভর করতে হচ্ছে কৃষকদের।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মতিয়র রহমান জানান, “আমার দফতরে ১১টি পদের মধ্যে ৬টি শূন্য। ৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী দিয়ে পুরো উপজেলার কাজ চালানো সম্ভব হচ্ছে না। প্রতিদিন গড়ে ২৫-৩০টি গাভীকে কৃত্রিম প্রজনন সেবা দিতে হয়। তাই অফিস সহকারীকে প্রশিক্ষিত হিসেবে বিবেচনা করে কাজ করাচ্ছি। পাশাপাশি একজন বেসরকারি কর্মীকেও সহায়তায় রাখা হয়েছে।” তিনি আরও জানান, শূন্য পদ পূরণের জন্য বারবার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হলেও এখনো কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
জনবল সংকটের কারণে কেন্দুয়া উপজেলার কৃষক ও খামারিরা এখন সঠিক প্রাণিসেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়েছেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: